নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, কোন প্যানেল কমিটির সভা না বসে, কোন প্যানেল পরীক্ষা না হয়ে, কোন পত্র-পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে কিভাবে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার(কাজী )হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে! তাও আবার স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর! ঝিলংজা ইউনিয়নের ভোট ডাকাত রাজনৈতিক মামলার আসামি! ঘটনাটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য! এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর, দুর্নীতিগ্রস্ত অনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের আগে পাঠানো প্যানেলে বর্তমানে অভ্যুত্থানের পরে কিভাবে নিয়োগ আদেশে নিয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব খরুলিয়া ৯নং ওয়ার্ডের মনিরুল হকের পুত্র বহু মামলার আসামি মো: হোছাইন (প্রকাশ নৌকা মৌলভী)।ভুক্তভোগী কাজী নিয়োগ প্রার্থী রমিজ কামাল ও সাইমুন কামাল জানায়, বিগত ৫ই মে ২০২৪ইং তারিখ এর নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যার স্বারক নং ২৩২, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর সাব-রেজিস্ট্রার নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানোর নিয়ম থাকলেও টাঙ্গা হয়নি, এমন কি পত্রপত্রিকাতে প্রকাশ করেনি, আর যারা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আবেদন করেছেন তাদের কাউকে প্যানেল গঠনে পরীক্ষায় আহব্বান করেনি যা প্যানেল গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আইন গত অবৈধ!উক্ত নিকাহ্ রেজিস্ট্রার নিয়োগ কমিটির ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ছিলেন, সভাপতি কক্সবাজার-৩ আসনের আওয়ামী স্বৈরাচারের সাবেক সংসদ সদস্য (হুইপ) সাইমুম সরওয়ার কমল, সদস্য সচিব সাব- রেজিস্ট্রার রিয়াজুল ইসলাম,ফ্যাসিবাদ সরকারের অধীনে আওয়ামী ত্রাস সৃষ্টিকারী এবং ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান টিপু সুলতান (নিয়োগ মাষ্টার মাইন্ড), সদর উপজেলা সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা ইসলাম চৌধুরী সহ যোগসাজশে সংগোপনে প্রতারণার মাধ্যমে স্বৈরশাসিতার প্রভাব খাটিয়ে সম্পূর্ন অনিয়ম ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে,মোটা অংকের লেনদেনে নিয়োগ প্যানেল সরকার পতনের ঠিক আগে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেন। উল্লেখ্য নিয়োগ কমিটির জালজালিয়াতি স্বাক্ষরিত মোঃ হোছন প্রকাশ নৌকা মৌলভীর ফাইল মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বোর্ডে পৌঁছে দেয়। মন্ত্রণালয়ে প্যানেল পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অন্যান্য প্রার্থীরা কোনভাবে অবগত নয়।ঠিক আওয়ামীলীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর এই ভোট ডাকাত রাজনৈতিক মামলার আসামি নৌকা মৌলভী কৌশলে তড়িঘড়ি করে ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং ১০.০০.০০০০.১৩১.১১..০৩৩.১২-৬৯ স্মারক নং মূলে নিয়োগ নিশ্চিত করেন। এ হচ্ছে আওয়ামী দোসরদের শক্তি। এমন কঠিন সময়ের ২/৩টি রাজনৈতিক মামলার রামু, জি.আর মামলা ৫০২/২০২৪ ও সদর,দ্রুত বিচার ৮৪/২০২৪, মামলা নং আসামি এখন নিয়োগ নিয়োগপ্রাপ্ত আসামী। সাধারণ জনমনের প্রশ্ন স্বৈরাচারের দোসর কিভাবে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে? তিনি বর্তমানে কাজী সেজে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রি করে যাচ্ছে এই নৌকা মৌলভী।ভুয়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করা প্যানেল, নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) নিয়োগ ইস্যু জানাজনি হলে, ভুয়া প্যানেলে ইস্যুকৃত নিয়োগ বাতিল এর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নিয়োগ প্রার্থী রমিজ কামাল ও সাইমুন কামাল । ভুক্তভোগীরা আরো জানান, এই জাল-জালিয়াতি চক্র খুবই প্রভাবশালী হওয়ায় অবাধে বৈবাহিক অপরাধ করে আসছে। কক্সবাজার জেলায় বাল্য বিবাহ ও বিভিন্ন বৈবাহিক অপরাধ করেছে। হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। মুসলিম নিকাহ্ ও তালাক নিবন্ধন বিধিমালা মোতাবেক সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়ে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার বালাম বই সংগ্রহ করার বিধান রয়েছে কিন্তু নিয়ম মোতাবেক নিকাহ্ ও তালাক নামা বালাম বই সংগ্রহ না করে বাজারে ছাপানো বালাম বই ব্যবহার করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।ভুয়া ও জালিয়াতি প্রস্তুত করা প্যানেল, নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) নিয়োগ ইস্যু বাতিলের জন্য রমিজ কামাল ও সাইমুন কামাল সহ অনেকেই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছে।এই বিষয় জানতে কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রারকে (নিয়োগ সদস্য সচিব) যোগাযোগ করা হলে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার নিয়োগ সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মোটোফোনে জানান, কাজী নিয়োগ পাইলে আমি কোন স্বাক্ষর করছি না এমন মনে হয় ।উক্ত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জিকুর সাথে যোগাযোগ করলে বলেন,ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের দোসর স্থানীয় এমপি ও চেয়ারম্যান এই ইউনিয়নে চরমভাবে দুর্নীতি, অনিয়ম করেছেন,পাশাপাশি নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদে চরম জালিয়াতির বিষয় নিয়ে ক্ষুদ্ধ ও ঝিলংজা ইউনিয়নের জনসাধারণের অধিকার কেড়ে নিয়ে একক ভাবে বাহুবল দেখিয়ে, অনৈতিকভাবে লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্যানেল সম্পন্ন করেছে। ঝিলংজা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ফ্যাসিবাদের দোসর কে সমথর্ন করছেনা সুতরাং ঝিলংজা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত অবৈধ জালিয়াতি প্যানেল ও নিয়োগ আদেশ বাতিল করার আহ্বান করছি।