মোং রাইতুল ইসলাম রাহাত:
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, বৈষম্য দূর করতে ভারত থেকে পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়। পাকিস্তান থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। সেই বৈষম্য কারণে ৫ আগষ্টের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ৫ আগস্ট যে উদ্দেশ্যে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। এখনো দখলবাজি, চাঁদাবাজি চলছে। জনসাধারণকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য থাকবে না। প্রত্যেক মানুষের সমান অধিকার থাকবে। এর জন্য প্রয়োজনে আবারও আন্দোলন করব। এই দেশ মুসলমানদের, কিন্তু অধিকার সবার। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুতুবদিয়া উপজেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কমিটির উদ্যাগে উপজেলা গেইটের সামনে আয়োজিত এক গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করিম বলেন, যারা ৫৩ বছর শাসন করে মানুষের মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিচারকদের স্বাধীনতা দিতে পারে নি। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তারাই ব্যবহার করছে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রহ করে ছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আজ ৫৩ বছরে এক চোর আরেক চোরের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু নীতির পরিবর্তন হয়নি। এদেরকে যারা নির্বাচিত করে তারাও আগামী কেয়ামতের ময়দানে সেই ফল ভোগ করবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কুতুবদিয়ার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী, সেক্রেটারী এ আর এম ফরিদুল আলম, ইসলামী যুব আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আল মিজান মুহাম্মদ নোহেল, জয়েন্ট সেক্রেটারী প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মুফতি নুরুল্লাহ সিকদার, মাওলানা শামসুল হক কাসেমী, মাওলানা আলী আজগর, মাওলানা ইয়াহিয়া সাঈদ, জুনাইদুল হক আরমান, এইচ এম. এম. শাহজাহান কুতুবী, মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজি, মুহাম্মদ ইয়াছিন আরফাত, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন, মোহাম্মদ শরীফ, মাওলানা শাহজাহান কুতুবীসহ প্রমুখ।
এর আগে, কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা উপজেলা গেইটে সমবেত হন।
পরে, ধূরুং হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মাহফিল যোগদান করেন।