ইকবাল চৌধুরী
পূর্ব শক্রতার জের নিজের দুই শ্যালককে এসিড নিক্ষেপের মামলা পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগে পুলিশ থেকে চাকরিচ্যুত কনস্টেবল নিখিল বড়ুয়া গ্রেপ্তার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কক্সবাজার শহরের হোটেল আলিফ ইন্টারন্যাশনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কক্সবাজার পরিদর্শক সুনীল দাস। গ্রেপ্তারকৃত নিখিলের বিরুদ্ধে শুধু এসিড নিক্ষেপ নয় পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন যুবককে ফাঁদে ফেলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল অনেক আগে থেকে। তার ফাঁদে পা দিয়ে অনেকে হারিয়েছেন মূল্যবান সময়। হারিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। হয়েছে সর্ব শান্ত।জানা যায়, ২০২৪ এর ২১ জানুয়ারী তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তারপর তদন্ত শেষে ওই বছরের আগস্টে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা কর্তৃপক্ষ। তখন সে পঞ্চগড় জেলা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিল।কক্সবাজার জেলার ভ্রমণ প্যাকেজ সিআইডির পরিদর্শক সুনীল দাস বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হোটেল আলিফ ইন্টারন্যাশনালের ৬০৯ নাম্বার কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷গ্রেফতারকৃত নিখিল বড়ুয়া রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড হাজারীকুল বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা।এদিকে ভুক্তভোগী আক্য বলেন, নিখিল বড়ুয়া আমাকে সিআইডিতে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু আমি নয়, আমার মতো আরও ১৫ জন থেকে একই কায়দায় টাকা হাতিয়ে নেয়।অপরদিকে গত ২৫ অক্টোবর রাত ১০ টার দিকে টিপু বড়ুয়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাচাতো ভাই দীপক বড়ুয়াসহ বাড়ি ফেরার পথে রামু চৌমুহনী ভিক্টর প্লাজার বিপরীতে জাহেদ হোসেন মার্কেটের সামনে পৌঁছলে নিখিল বড়ুয়া ও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জন লোক তাদের দিকে এসিড নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে তারা দুজনের শ্বরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে ২৯ অক্টোবর ভুক্তভোগী টিপু বড়ুয়ার মা প্রকৃতা বড়ুয়া বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করেন৷ তিনি আরও জানান, সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন চলছে।