
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (২য় ফেইজ) এর অবহিতকরণ সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, প্রান্তিক পেশাজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা, প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হলে তারা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
বুধবার (২৯ মে) কক্সবাজার সদর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার সদর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কৌশিক খান এর সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম বিভাগীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম, তিনি বলেন, “সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের আয় বাড়ানো, জীবনমান উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়নের পথ তৈরি করা সম্ভব হবে।” সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, তিনি বলেন প্রান্তিক পেশাজীবির মান উন্নয়ন হলে দেশ হবে সাবলম্বী, প্রান্তিক পেশাজীবীরা হচ্ছেন সমাজের ভিত্তি। তাদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করলে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা উন্নয়ন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের কর্মকর্তাগণ সহ প্রান্তিক পেশাজীবীদের প্রতিনিধিরা।
সভায় মূল প্রবন্ধ আলোচক আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর মান উন্নয়ন (২য় পেইজ) প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সদরে ১০টি ট্রেড — কুমার, কামার, জুতা মেরামতকারী, বাঁশ-বেত পণ্য প্রস্তুতকারক, নাপিত, কাঁসা/পিতল প্রস্তুতকারক, নকশীকাঁথা শিল্পী, লোকজ বাদ্যযন্ত্র নির্মাতা — এর অধীনে মোট ১২,০১৬ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য নিবন্ধিত করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে তালিকায় বাদ যাওয়াদের তালিকা বদ্ধ করা হবে।